মুহাম্মাদ আবু মুসাঃ বগুড়া গাবতলীর মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা এবার পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানী ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ? কারন উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদের আগে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে প্রয়োজনীয় খরচা করে পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার প্রস্তÍুতি নিলেও মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা তা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বুধবারেও ওই বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন-ভাতা হয়নি বা উত্তোলন করতে পারেনি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজলকে অর্থ আতœসাতের দায়ে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়ালকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় তা নিয়ে কিছু জটিলতার কারনে বেতন-ভাতা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। তবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম একটি প্রত্যয়ন দিলেও জটিলতা কাটেনি। আবার বেতন-ভাতা প্রস্তÍুতকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল স্বাক্ষরিত সিটে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজলও স্বাক্ষর করেছেন। মানবিক কারনে ঈদের আগে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড় করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আসু হস্তেক্ষেপ কামন করেছেন এলাকার শিক্ষানুরাগীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের বেতন-ভাতা আটকাতে পারে না মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। তবে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের জন্য আমি প্রত্যয়নও দিয়েছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করাকে কেন্দ্র করে কিছু আইনী জটিলতার কারনে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম আরো জানান, মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে এডিএম কোট থেকে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে বলে আমি জানতে পারছি। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাবতলী শাখার ব্যবস্থাপক রওশন আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা ব্যাংকে লেন দেন করার জন্য এবং মানুষকে সেবা করতে দায়িত্বে রয়েছি। আইনগত কিছু জটিলতা থাকায় এবং মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি পত্রের মাধ্যমে বিধি নিষেধ করায় আমরা মহিষাবান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড় দিতে পারছি না। আইনগত ঝামেলা থেকে মুক্ত হলেই ব্যাংক ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আটকে রাখতে পারবে না। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজল বিদ্যালয়ের অর্থ আতœসাৎ করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ কারনে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ থাকতে পারে না। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তারিকুল আলম অজ্ঞাত কারনে অর্থ আতœসাতকারী সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান কাজলের পক্ষ নিয়েছেন।